(Suggested Questions & Answers)
সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর : (২ নম্বর)
১. স্বাধীনতার আগে মুসলিম লীগ প্রদত্ত দ্বি-জাতি তত্ত্বটিতে অন্তর্ভুক্ত করা রাষ্ট্র দুটি ছিল ....... ও........ (শূন্যস্থান পূরণ করো)
উত্তরঃ স্বাধীনতার আগে মুসলিম লীগ প্রদত্ত দ্বি-জাতি তত্ত্বটিতে অন্তর্ভুক্ত করা রাষ্ট্র দুটি ছিল ভারত ও পাকিস্তান।
২. দেশ বিভাজনের সময় "সাম্প্রদায়িক মন্ডল"-এ পরিণত হওয়া দুটি শহরের নাম লেখ।
উত্তরঃ দেশ বিভাজনের সময় "সাম্প্রদায়িক মন্ডল"-এ পরিণত হওয়া দুটি শহরের নাম - কলকাতা ও লাহোর।
৩. রাজ্য পুনর্গঠন আইন কবে গ্রহণ করা হয়েছিল? এই আইনের ভিত্তিতে সৃষ্ট যে-কোনো একটি রাজ্যের নাম লেখ।
উত্তরঃ রাজ্য পুনর্গঠন আইন ১৯৫৬ সালে গ্রহণ করা হয়েছিল। এই আইনের ভিত্তিতে সৃষ্ট একটি রাজ্যের নাম হলো- মধ্য প্রদেশ।
৪. রাজ্য পুনর্গঠন আয়োগ কবে গঠন করা হযেছিল? এর সভাপতি কে ছিলেন?
উত্তরঃ রাজ্য পুনর্গঠন আয়োগ ১৯৫৩ সালে গঠন করা হযেছিল। এর সভাপতি ছিলেন ফজল আলী।
৫. রাজ্য পুনর্গঠন আয়োগের অতি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শটি কি ছিল?
উত্তরঃ রাজ্য পুনর্গঠন আয়োগের অতি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শটি ছিল - ভাষার ভিত্তিতে রাজ্য পুনর্গঠন।
৬. কোন্ কোন্ দেশীয় রাজ্য ভারতের সঙ্গে যুক্ত হতে কতিপয় সমস্যা সৃষ্টি করেছিল?
উত্তরঃ দেশীয় রাজ্য কাশ্মীর, হায়দ্রাবাদ, মনিপুর ও জুনাগড় ভারতের সঙ্গে যুক্ত হতে কতিপয় সমস্যা সৃষ্টি করেছিল।
৭. দেশ বিভাজনের ফলে কোন দুটি রাজ্যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি হয়েছিল?
উত্তরঃ দেশ বিভাজনের ফলে পাঞ্জাব ও বাংলা রাজ্যে দুটিতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি হয়েছিল।
৮. দেশভাগের দুটি পরিণাম উল্লেখ করো।
উত্তরঃ দেশভাগের দুটি পরিণাম হলোঃ (ক) সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা- দেশ বিভাজনের ফলে অমৃতসর, কলকাতা, লাহোর ইত্যাদি অঞ্চলে সাম্প্রদায়িক হিংসা সৃষ্টি হয়েছিল। (খ) শরণার্থী সমস্যা- দেশ ভাগের ফলে সীমান্তের দুই পারে লক্ষ লক্ষ সংখ্যালঘু নিজেদের ঘর-বাড়ি ছেড়ে শরণার্থী হয়েছিলেন।
৯. শিলং কোন রাজ্যের রাজধানী ছিল? কোন সালে এটি ঐ রাজ্য থেকে পৃথক হয়ছিল?
উত্তরঃ শিলং অসমের রাজ্যের রাজধানী ছিল। ১০৭২ সালে এটি ঐ রাজ্য থেকে পৃথক হয়ছিল।
১০. সার্বজনীন প্রাপ্তবয়স্ক ভোটাধিকারের উপর ভিত্তি করে ভারতবর্ষের কোন অংশে এবং কখন প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা হয়েছিল?
উত্তরঃ সার্বজনীন ভোটাধিকারের ভিত্তিতে মণিপুর রাজ্যে (১৯৪৮ সালের জুন মাসে) প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
১১. কিসের ভিত্তিতে রাজ্য পুনর্গঠন আয়োগ রাজ্য গঠনের সুপারিশ করেছিল?
উত্তরঃ ভাষার ভিত্তিতে রাজ্য পুনর্গঠন আয়োগ রাজ্য গঠনের সুপারিশ করেছিল।
১২. কিসের জন্য রাজ্য পুনর্গঠন আয়োগ গঠন করা হয়েছিল?
উত্তরঃ ভাষার ভিত্তিতে ভারতের রাজ্যগুলোর নতুন সীমানা নির্ধারণ ও পুনর্গঠনের জন্য রাজ্য পুনর্গঠন আয়োগ গঠন করা হয়েছিল।
১৩. ১৯৫৬ সালে ভারতে ভাষার ভিত্তিতে রাজ্য গঠিত হয়েছিল কেন?
উত্তরঃ ঔপনিবেশিক শাসনে রাজ্যগুলির সীমানা শাসনতান্ত্রিক সুবিধা অনুযায়ী করা হয়েছিল। স্বাধীনতার পর দেশের ভাষিক ও সাংস্কৃতিক ভিন্নতার প্রতি লক্ষ্য রেখে ভারতীয় রাজ্যগুলির আভ্যন্তরীণ সীমানা নির্ধারণ করার প্রয়োজনীয়তা বিবেচনার জন্য ১৯৫৩ সালে রাজ্য পুনর্গঠন আয়োগ গঠন করা হয়। এই আয়োগের সুপারিশ মর্মে ১৯৫৬ সালে ভারতে ভাষার ভিত্তিতে রাজ্য গঠিত হয়েছিল।
১৪. মেঘালয় এবং গুজরাট কোন্ কোন্ রাজ্য থেকে পৃথক করা হযেছিল?
উত্তরঃ মেঘালয় আসাম রাজ্য থেকে এবং গুজরাট বোম্বে (বর্তমানে মহারাষ্ট্র) রাজ্য থেকে পৃথক করা হয়েছিল।
১৫. ব্রিটিশ গভর্নর মাউন্টব্যাটেন ১৯৪৭ সালের ৩ জুন কি ঘোষণা করেছিলেন?
উত্তরঃ বৃটিশ গভর্নর মাউন্ট ব্যাটেন ১৯৪৭ সালের ৩ জুন ঘোষণা করেছিলেন যে, ১৯৪৮ সালের জুন মাসের পরিবর্তে ১৯৪৭ সালের আগস্ট মাসে ভারত বিভাজনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে।
১৬. ব্রিটিশ মহাসাম্রাজ্য বলতে কি বোঝো?
২০. নেহেরু নীতির দুটি নেতিবাচক দিক উল্লেখ করো।
উত্তরঃ নেহেরু নীতির দু'টি নেতিবাচক দিক হলো- (ক) নেহেরু নীতির উপর দেশের সকল জনসাধারণ একমত হতে পারেননি। (খ) তাঁর নীতি সমূহ ত্রুটিপূর্ণ ছিল বলে অনেকেই সমালোচনা করেছেন।